রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশাসন ক্যাডারের ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা কাউন্সিলর লেবার মেহেদী হাসানের বিতর্কিত কর্মকান্ডে রিয়াদ প্রবাসীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মাত্র ২ বছর আগে মেহেদী হাসান সেখানকার শ্রম শাখায় পোস্টিং নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম তথা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেয়ার ব্যাপক অভিযোগ ছিলো। দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রিয়াদস্থ সেইফ হাউজে অবস্থানরত একাধিক প্রবাসী গৃহকর্মীর সঙ্গে মেহেদী হাসানের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রমান পান।
বিষয়টি তদন্তের জন্য স্বয়ং রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারী নিজেই বিষয়টি তদারকি করে, তাৎক্ষণিক ভাবে অফিস ছুটির দিনেই গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি (বিরত) পত্র প্রদান করেন।
সূত্র মতে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতাবাস প্রধান ড.ফরিদ উদ্দিন আহমদ (স্মারক নং-১৯.০১.৯৬৬১.৭০০.০৬.০০১.১৮.১২৫) এক অফিস আদেশে রাষ্ট্রদূতের অনুমতিতে অনিবার্য কারণে মেহেদি হাসানকে কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি (বিরতি) দেয়া হয়। বর্তমানে তাকে রিয়াদস্থ বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
জেদ্দার কনস্যুলেটের ঐ কর্মকর্তার স্থলে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মরত সহকারী হাইকমিশনার নাজমুল হাসানকে জেদ্দায় নিয়োগ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, জেদ্দার অভিযোগের বিষয়ে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা মন্ত্রণালয় থেকে আরো গভীরভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সউদীর রিয়াদ, জেদ্দা ও মদিনায় স্থাপিত সেইফ হাউজে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রবাসী মহিলা গৃহকমীদের সুরক্ষারার্থে সরকার প্রতি বছর ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। সেইফ হাউজে আশ্রিতা এসব মহিলা গৃহকর্মীদের অনেকেই দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত এবং নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।