ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয় নিয়ে সাত দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আরব-আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে, বৈঠকের বিষয়ে এক রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি খুবই গোপনীয়। আলোচনা চলছে। এর বেশি কিছু জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব।
বুধবার বিকাল চারটার পরে বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। সরকারকে ইতিমধ্যে একাধিকবার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশকে।
বৈঠকে সাত দেশের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক, কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া পিয়েরে লারামি, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগরি এ উইলকক, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানের রাষ্ট্রদূত অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্র সচিব দুল হক, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা একাধিকবার জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে যুক্তরাজ্যের শর্ত অনুযায়ী দেশটির একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়।
বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে আমেরিকাও।