করোনার মধ্যেও সাত মাসে ২ লাখ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি

করোনার মধ্যেও দেশের পণ্য রপ্তানি খুব একটা খারাপ করছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ২৬৭ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্যানুযায়ী,গত জানুয়ারিতে ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে গত জানুয়ারিতে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, হস্তশিল্প, রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি কমেছে। বড় এই খাতগুলোর প্রভাবে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সমান। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।

তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটের রপ্তানি ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও ওভেন পোশাকের কমেছে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৯৯৮ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৯৪৪ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

করোনা শুরুর পর থেকেই ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় পোশাক রপ্তানি কমতে থাকে। মাঝে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও আবার ধস নামে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ক্রয়াদেশ আসার গতি শ্লথ বলে দাবি করেছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৫৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৫২ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৩০ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৩১ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.