এভিয়েশন নিউজ: বিনা পাসপোর্টে যুক্তরাজ্যে ঢুকতে গেলে বিমানের সুদর্শন ও সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে লন্ডনস্থ বেরসিক ইমিগ্রেশন পুলিশ। পাইলটের এই অপরাধে রাস্ট্রীয় এয়ারলাইন্স বিমানকে ২ হাজার পাউন্ড জরিমানাও করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রায় এক ঘন্টা ফ্লাইট বিলম্ব হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অনেক যাত্রী বিমান ম্যানেজমেন্টকে অভিযোগ করেছেন। গত শনিবার বিমানের একটি ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। আর কো পাইলট ছিলেন ফাস্ট অফিসার গফুর।
বিমানের লন্ডন অফিস সুত্রে জানাগেছে নিয়ম অনুযায়ী ফ্লাইটটি অবতরণের পর বিমানের ক্রুদের বহনকারী গাড়িটি বিমান বন্দরের গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার সময় পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে দেয়। এরপর সব ক্রুদের নেমে ইমিগ্রেশন তাল্লাশীর নির্দেশ দেয়া হয়।
একে একে সবাইকে তাল্লাশী করে ছেড়ে দিলেও পাইলট রফিককে টার্মিনালে পাঠিয়ে দেয়। তাকে ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানাগেছে প্রায় এক ঘন্টা অনেক তদবির করলেও রফিককে লন্ডনে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে কাপ্টেন রফিক দেশে ফেরত আসেন। এতে এক ঘন্টা ফ্লাইট বসিয়ে রাখতে গিয়ে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে জানাগেছে।
এদিকে সিডিউল অনুযায়ী লন্ডন থেকে যে ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন রফিকের ফেরার কথা ছিল ওই ফ্লাইটে ক্রু স্বল্পতা দেখা দেয়। এতে বেঁকে বসেন ওই ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল। তিনি একা একা লন্ডন থেকে ফ্লাইট নিয়ে ঢাকা আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন সিডিউলিং ডিপার্টমেন্টকে।
লন্ডন থেকে সিলেট পর্যন্ত ফ্লাই করবেন বলে জানান। এই অবস্থায় সিলেটে একজন পাইলট পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বিমানের সিডিউলিং ম্যানেজার মিরন সিলেটে কোন পাইলট না পাঠিয়ে অভিযুক্ত পাইলট ক্যাপ্টেন রফিককে সিলেটে নেমে যাওয়ার জন্য বলেন। জানাগেছে পরের দিন ক্যাপ্টেন জামিল লন্ডন থেকে ফ্লাইট নিয়ে সিলেট ফেরেন। আর কাপ্টেন রফিক সেই ফ্লাইট নিয়ে ঢাকা আসেন।
এদিকে বিমানের একাধিক পাইলট সুত্রে জানাগেছে লন্ডন ইমিগ্রেশন পুলিশ কখনোই বিমানের পাইলট কিংবা ক্রুদের পাসপোর্ট তাল্লাশী করে না। ২০ বছর ধরে এই রুটে ফ্লাই করেছেন এরকম একজন পাইলট জানান, সাধারণত কোন ধরনের অভিযোগ কিংবা সুস্পষ্ট তথ্য না থাকলে কোন এয়ারলাইন্সের ক্রুদের তাল্লাশী করা হয় না।
তবে তিনি বলেন, এর আগে বিমানের এক কেবিন ক্রুর কাছে অনুমোদন ছাড়া সিগারেট পাওয়ার পর থেকে বিমানের ক্রুদেরকে অন্য দৃস্টিতে দেখছেন লন্ডন ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানাগেছে এরপর থেকে মাঝে মাঝেই বিমানের ক্রুদের তাল্লাশী করা হয়।
শনিবারের এই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ক্যাপ্টেন রফিকের কাছে প্রথমেই পাসপোর্ট চেয়ে বসেন। এরপর ব্যাগেজ তাল্লাশী করেন। এতে বুঝা যাচ্ছে কেউ না কেউ আগে থেকে ক্যাপ্টেন রফিকের কাছে পাসপোর্ট নেই সেটি জানিয়ে দিয়েছিল।