এভিয়েশন নিউজ: দক্ষিণ কোরিয়া চলতি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের কোটা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ২৭০০ জন কর্মী নেবে। ২০১৩ সালে দেশটি বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০০০ কর্মী নিয়োগ করেছিল। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠককালে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী ইউন-ইয়ং এই তথ্য জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত¡ রিক্রুটিং এজেন্সি ‘বাংলাদেশ ওভারসীস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড’ (বোয়েসেল) ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ার কাজটি সম্পাদন করার জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে কাজ করে আসছে। ‘এম্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম’ (ইপিএস) পদ্ধতি ব্যবহার করে বোয়েসেল কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার দুইশ’ পাঁচজন কর্মী এই পদ্ধতিতে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে এক হাজার একশ’ জন বাংলাদেশী কর্মী তাদের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফিরে না আসায় অবৈধ হয়ে গেছেন।
জানা গেছে, বৈঠকে অবৈধ বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে অবৈধদের ফেরত পাঠানোর পদ্ধতি প্রণয়নের প্রতি অধিক জোর দেওয়া হয়। প্রবাসী মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূত লী ইউন-ইয়ং সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশী কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ করার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ইপিএস পদ্ধতির উন্নয়নে আগ্রহী। এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার চাকুরীদাতারা চাকুরীর জন্যে নির্বাচিতদের রোস্টার থেকে তাদের চাহিদা মোতাবেক কর্মী নিয়োগ করে থাকেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকে না।
তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশে আধুনিক কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে তার দেশ কর্মীদের নিয়োগের পূর্বে কোরীয় ভাষার দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে যাবে। রাষ্ট্রদূতের পাশে দাঁড়িয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ইপিএস পদ্ধতিতে আকর্ষনীয় চাকুরী নিয়ে কর্মীরা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। কিন্তু রোষ্টারে থাকা কতিপয় ব্যাক্তি কোরিয়ায় যেতে না পেরে অনশন করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, চলতি বছরের জুনে এমওইউয়ের মেয়াদ শেষ হবে। এমওইউ নবায়নের সময় বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন ডিভাইস যুক্ত করা হবে।