বিভিন্ন সময় ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে কেউ আপনজন কেউ বা দালালদের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার ৮ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করে ভারতের পেট্রপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা। এসময় কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনী সহয়তা দিতে এসব নারীদের জিম্মায় নেয় জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও।
ভুক্তভোগী নারীরা জানায়, দালালের প্রলোভনে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে মুম্বাইয়ে পাচার হয়। পরে মুম্বাইয়ের পুলিশ তাদেরকে আটক করলে প্রায় দেড় বছর কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে মুম্বাইয়ের ‘নব জীবন’ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে শুক্রবার রাতে তাদেরকে ভারত সরকারের দেওয়া ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
পাচারের শিকার সাতক্ষীর কলোরোয়ার রফিক ইসলামের স্ত্রী সাবিনা। একমাত্র ভরসার মানুষটি ছিল স্বামী রফিকুল। কিন্তু সেই তার সাথে করেছে প্রতারণা আর বিশ্বাস ঘাতকতা। বিয়ের মাত্র দুই দিন পর ভাল কাজের কথা বলে ভারতে নিয়ে অন্ধকার গলিতে বিক্রি করে দেয় রফিকুল। আড়াই বছর নারকীয় যন্ত্রনা ভোগ করে ফিরেছে সে।
প্রতারণার শিকার ফেরত আসা নারীরা হলেন, সাতক্ষীর হীরা বদী, সাবিনা বেগম,শাহানাজ মন্ডল, ফতেমা, খুলনার মিনা শেখ ও যশোরের রেশমা জাহান খান,ময়না বেগম ও মাগুরার গঙ্গারামপুর গ্রামের পাপিয়া।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খাঁন ভারত থেকে ফেরত আসা নারীদের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ফেরত আসা আট নারীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংস্থাটি তাদের পরিবারের কাছে পৌছে দেবে।