স্বাধীনতার নতুন ঘোষক তৈরি করা হলে, তার ঠিকানা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে স্বাধীনতার নতুন ঘোষক তৈরি করা হলে, তার কোনো ঠিকানা থাকবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজধানীর পাশাপাশি সারা দেশেই নানা আনুষ্ঠানিকতায় চলছে উদযাপন। সরকারি ঘোষণা মতো ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাপ্তি হবে মুজিবশতবর্ষের।

রোববার সকালে মুক্তির মহানায়কের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এতে গণভবন থেকে অনলাইনে যোগ দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনাদর্শ ও রাজনৈতিক সংগ্রামের বিভিন্ন পথপরিক্রমা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হলেও, তাঁর নেতৃত্ব আজ বিশ্ব স্বীকৃত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হলো, স্বাধীনতার নায়ক বানানো হলো, স্বাধীনতার ইতিহাস পাল্টে দেয়া হলো, মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে সেই মিথ্যা ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না। তার কারণ, আজ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এটা নিজেরাই প্রচার করছেন যে, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

জাতির পিতার দেখানো পথেই দেশ সমৃদ্ধ হবার মর্যাদা অর্জন করবে বলেও জানান সরকার প্রধান।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.