বিএনপিসহ দেশের বিরোধী মতের জনগণকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঘরবন্দি রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, এটা কীসের স্বাধীনতা?
গয়েশ্বর বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণ দিবস পালন করতে আসবেন, মন্দির ভিজিট করবেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালীমন্দিরও তো এখানে আছে। কিন্তু তিনি গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরার মন্দিরে যাবেন। এর আশপাশের লোক এখনই ঘরছাড়া। নিরাপত্তা বলে একটা কথা আছে। তিনি যাবেন ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ লোকের আগমন হয়। এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য যদি এত লোকের আগমন হয়, তা হলে স্বাস্থ্যবিধিটা কোথায়?
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা বেগম সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী, দেওয়ান সালাহউদ্দিনসহ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনায় এ দোয়া মাহফিল হয়। গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আমাদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস প্রতিবছর পালন করি, কিন্তু এবার তাও পালন করা যাবে না। করোনাকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধির দোহাই দিয়ে সবাইকে বিরত রাখছেন শেখ হাসিনা।
গয়েশ্বরচন্দ্র আরও বলেন, এখানে পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের ঔরস আছে, তাদের সঙ্গে মোলাকাত করতে আসছেন মোদি। এটা একটা নির্বাচনী প্রচার। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে (বাংলাদেশ) অন্য দেশের নির্বাচনের প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।