ঢাকা পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করছে

বিদেশের আদলে ঢাকায় মেট্রোরেলের পর এবার চালু হতে যাচ্ছে পাতাল রেল।

১১টি লাইনে চলবে এসব পাতাল রেল। মাটির নিচেই থাকবে আধুনিক স্টেশন, প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে ৩০ সেকেন্ড। ২০৩০ সালের এর মধ্যে মধ্যে চারটি লাইনের কাজ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সদরঘাটে লঞ্চ থেকে নামার পর থাকবে না আর পরিবহন সংকট। সদরঘাট থেকে গুলিস্তান, মহাখালী, কচুক্ষেত, উত্তরা হয়ে টঙ্গী পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার হচ্ছে পাতাল রেল।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকার মোট ১১টি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম চারটি রুট ঝিলমিল আবাসিক এলাকা থেকে টঙ্গী, সিদ্ধিরগঞ্জ টু কামরাঙ্গীচর, উত্তরা- নারায়ণগঞ্জ, গাবতলি থেকে মাস্তুল যার কাজ ৯২ কিলোমিটার কাজ শেষ করতে চায় ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে এসব সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের সাথে যুক্ত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে এসব সেমিনারের এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে সেতু বিভাগের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ২০৭০ সাল পর্যন্ত এই লাইনগুলো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ৩০ সালের মধ্যে ৪টি, ৪০ সালের মধ্যে আরও ৪টি বাস্তবায়িত হবে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৪০ লাখ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হবে পাতাল রেল। আর ঘন্টায় ৬০ হাজার মানুষ এই রেল ব্যবহার করবে। পাতাল রেল নির্মাণের সময় রাজধানীতে চলমান উড়াল সড়ক এবং মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য সমন্বয় করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.