২০২১ সালে জিডিপিতে আইসিটির অবদান হবে ৫ শতাংশ

2016_03_11_16_29_16_W8qcfkxtHiBTXHo3ODJiAWlo1y3qju_original২০২১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তথ্য-প্রযুক্তি খাত অন্তত ৫ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয় বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ প্রকাশ করেন ।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে দ্রুত বিকশিত করার লক্ষে আমরা ১০০০ উদ্ভাবনীতে সহায়তাদানের জন্য ‘কানেক্টিং স্টার্ট আপ’ নামক প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। এতে প্রচুর সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করা হচ্ছে। ২ লাখ ৫০ হাজার নারীকে আমরা আইসিটি প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আইসিটি ডিভিশন থেকে ৪৫ লাখ মানুষ ২০০ ধরনের সেবা গ্রহণ করছে। ২ লাখ তরুণকে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এক লাখ নারী-পুরুষকে ই-কমার্সের আওতায় আনা হয়েছে। একশ’টি উপজেলায় টেলি মেডিসিন সেবা চলু করা হয়েছে। ১৮ হাজার সরকারি অফিসে হাই-স্প্রিড ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী ২০২১ সালে জিডিপিতে আসিটি খাত ৫ শতাংশ অবদান রাখবে।’

পলক বলেন, ‘ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য আইসিটি অবকাঠামো, দক্ষ মানব সম্পদের উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী তিনটি-ই অপরিহার্য। দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। যশোর সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ সমাপ্তির পথে, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানী এক বিলিয়ন এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ সময়ে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘‘ফিলোসফি অব রেভ্যুলেশন’’। আর বর্তমানে এর যতটুকু অর্জন তার পুরোটার দাবিদার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়। তিনি এ খাতের মেন্টর, যার পরাপমর্শে আমরা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনিই প্রথম আইসিটি পলিসি তৈরি করেন। আইন সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশে ই-কমার্সের কোনো অনুমোদন ছিল না। তিনিই প্রথম বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বসে সে অনুমোদন নিয়েছেন।’

এর আগে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালন করেন দলটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.