চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহাইদের নেতৃতত্বাধীন প্রতিনিধি দল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা বুধবার দুপুর ২টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) জাহিদ আনোয়ার বলেন, সৌদির উপমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারি কর্মকর্তারা দুপুর ২টায় ঢাকা ছেড়েছেন। সন্ধ্যা ৬টায় দেশটির বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি দলের ৭ জন ঢাকা ছাড়বেন।
এর আগে গত রবিবার দুপুর ১২টায় সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া ঠিক করতে ঢাকা সফরে আসে। প্রতিনিধি দলে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও জনশক্তি আমদানিকারকদের সংগঠন সানারকমের সভাপতিসহ বেসরকারি খাতের লোকজনও ছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরবে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে ৮০০ রিয়ালে গৃহকর্মী (নারী) নেবে সৌদি আরব। এক্ষেত্রে কর্মীদের কোনো যাতায়াত খরচ লাগবে না। এছাড়া তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করবে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারীরা।
পরবর্তী সময়ে গৃহস্থালির কাজে ড্রাইভার, দারোয়নসহ অন্য আরও ১১টি পেশায় কর্মী নেওয়া হবে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার।
চার দিনের ঢাকা সফরের সময় সৌদি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন।
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর বন্ধ থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করে সৌদি সরকার। ওই দিন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় জানান, সৌদি আরবের রাজকীয় সভা ওই দিন বাংলাদেশের ওপর থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এ দেশটিতে শ্রমিক পাঠাতে আর কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি আরব।