শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি

মঙ্গলবার রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) আটক করেছে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে তাকে মুক্তি না দেয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

মঙ্গলবার রাত ২টা ২০ মিনিটে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করা হয়। তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি র‍্যাব হেফাজতে রয়েছেন।

এদিকে মাদানীকে র‍্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে বুধবার বিকালে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা। এ সময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড়ভাই রমজান মিয়া জানান, মাদানী মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজ বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে র‍্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তার ভড়ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা এনামূল হককে (২৮) তুলে নেয়। পরে বকুল মিয়াকে ওই রাতেই ছেড়ে দিলেও অন্যদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

রমজান মিয়ার দাবি, এ সময় মাদানীর ব্যবহৃত দুটিসহ তাদের পরিবারের ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফোনগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীরা পাঁচ ভাই। তাদের মধ্যে মাদানী সবার ছোট। তার বাবার নাম মৃত শাহাবুদ্দিন। মাদানী নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে পরে ঢাকায় চলে যান। সেখানে লেখাপড়া করাকালে শিশুবক্তা হিসেবে আলোচিত হন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.