লকডাউনের প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে

লকডাউনে পরিবহন সঙ্কটের কারণে হাসপাতাল গুলোতে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য রিকশা-ই এখন একমাত্র ভরসা। অন্য দিনের তুলনায় তাই করোনার চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও কমেছে। প্রভাব পড়েছে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রেও।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চিকিৎসার জন্য যারা বের হবেন, তাদের কোনো সমস্যা হবে না।

প্রতিদিন আগে যেখানে করোনার চিকিৎসা নিতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের লম্বা লাইন থাকতো, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন সেখানে উপস্থিতি অনেক কম। অন্য দিনের তুলনায় তাই বুধবার (১৪ এপ্রিল) অনেকটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেল হাসপাতালগুলোতে।

রাস্তায় পরিবহন নেই। তাই হঠাৎ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ায় রিকশা নিয়েই হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে, তারা সহজে হাসপাতালে পৌঁছানোর সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কয়েকবার রিকশা বদলে আসতে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত হাসপাতালে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) নতুন করে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম হলেও বিভিন্ন হাসপাতালে আগে থেকেই ভর্তি আছেন শয্যার চেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী। খালি নেই আইসিইউ।

সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় টিকা কার্যক্রম বন্ধ। কিছুটা ভিড় দেখা গেছে নমুনাপরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে। লকডাউন হলেও টিকার কার্ড দেখিয়ে কেন্দ্রে যেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কারও যাতায়াতে সমস্যা না হয় সেজন্য টিকা কার্ড সঙ্গে থাকলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার অথবা রিকশা বা ভ্যান ব্যবহার করে তারা সেখানে যেতে পারবেন এবং নিরাপদে টিকা নিতে পারবেন।

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.