বিএনপির তৎকালিন সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের পর থেকে এর জন্য সরকারকে দায়ী করে আসছে দলটি। পরিবারের পক্ষ থেকেও সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এমন অবস্থার মধ্যে হঠাৎ করে দাবি করেছেন, সরকার নয়, বিএনপির লোকজন ইলিয়াস গুমের সঙ্গে জড়িত। তার এমন বক্তব্যে দলের ভেতরে বাইরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
শনিবার যখন তিনি এই কথা বলেন সে অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ছাড়াও তার সময়কার সাবেক ছাত্র নেতারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মির্জা আব্বাস এমন দাবি করে জড়িত দলের লোকদের খুঁজে বের করতে মহাসচিবের কাছে অনুরোধ করেন। অন্যথায় সামনের দিনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তার।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মির্জা আব্বাসের মতো একজন দায়িত্বশীল নেতার এমন বক্তব্য নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছেন। কেন এই বক্তব্য তাও খোঁজার চেষ্টা করেছেন। এমন বক্তব্যকে তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
তবে এখনই কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। শনিবারের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকা একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ নিয়ে এখনো কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সাবেক নেতা বলেন, আব্বাস ভাইয়ের মতো মানুষ তথ্য না জেনে কথা বলবেন এটা আমরা মনে করি না। আমরাও মনে করি ইলিয়াস আলীর মতো মানুষ হঠাৎ হাওয়া হয়ে যাবেন সেখানে অনেক ঘটনা যুক্ত থাকবে এটা স্বাভাবিক। তবে এতদিন পর এই কথা বলার কারণ মির্জা আব্বাস ভালো বলতে পারবেন।
মির্জা আব্বাস তার বক্তব্যে ইলিয়াস আলী নিখোঁজের আগের রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির এক নেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। সেই নেতার নাম না বললেও নিখোঁজের পেছনে ওই ঘটনার রেষ টানার চেষ্টা করেছেন বিএনপির এই শীর্ষনেতা।
এদিকে তার বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যম ফলাও করে সংবাদ প্রচারের পর নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন মির্জা আব্বাস। রবিবার বিকালে শাহজাহানপুরের বাসায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী।