সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দশম শ্রেণির মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম হাফেজ আব্দুল মজিদ (৪২)।
তিনি শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে ও কালিগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষক।
পুলিশ জানায়, শিক্ষক আব্দুল মজিদের সঙ্গে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর মহিলা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরই জের ধরে শিক্ষক আব্দুল মজিদ গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে ওই ছাত্রীকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে কালিগঞ্জের পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় নিয়ে আসেন।
এরপর রাতে ওই ছাত্রীকে শিক্ষকের শয়ন কক্ষে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরদিন ১৮ এপ্রিল সকালে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে তাকে মোটরসাইকেল যোগে কালিগঞ্জের গড়ের হাট নামকস্থানে নামিয়ে দেন ওই শিক্ষক।
এ সময় তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়।
কোনো উপায় না পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
এরপর রাতেই কালিগঞ্জ থানা পুলিশ পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেন।