মমিতেও হৃদরোগ!

2016_06_10_16_28_41_dpOwCVtvAWxx8D4fTDGcoYTywryr1l_originalসম্প্রতি প্রাচীন মমিকৃত দেহাবশেষের হৃদযন্ত্র ও ধমনী স্ক্যান করেছেন বিজ্ঞানীরা। মমির মানুষদের কী কারণে মৃত্যু হয়েছিল তা জানাই ছিলো উদ্দেশ্য। স্ক্যান করে মমিগুলোর চর্বি খুঁজে হৃদযন্ত্র ও ধমনী পাওয়া গেছে। ৪ হাজার বছরের পুরনো ১৩৭টি মমির উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, মমিকৃত এই মানুষদের বেশিরভাগই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক করে মারা গেছেন!

বিজ্ঞানী বলেছেন, উচ্চাভিলাসি জীবনযাপন, ধূমপান ও অতিভোজনের মাধ্যমে স্থুলকায় হয়ে পড়েছিল মমির মানুষগুলো।বেশ কিছু মমির ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, মমিকৃত মানুষরা সমাজের সবচেয়ে উঁচু শ্রেণীর ছিলেন। চর্বিতে পরিপূর্ণ বিলাসবহুল খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন তারা।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, আদিম মানুষের রোগের ধরন চিহ্নিত করার জন্য মিশর, পেরু, দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা ও আলাস্কার অ্যালুশিয়ান দ্বীপ এলাকার মমিগুলোর সিটি স্ক্যান করে এই বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে।গবেষণায় ৩৪ থেকে ৪৭ শতাংশ মমিতেই অথেরোসক্লারোসিসের (ধমনীর পেশি পুরু হয়ে যাওয়া) চিহ্ন পাওয়া যায়। এই চিহ্নটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ভাস্কুলার ডিজিজের (ধমনীর স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া) কারণ।

গবেষণা দলের প্রধান সেন্ট লুক মিড আমেরিকা হার্ট ইনসটিটিউটের অধ্যাপক রেনডল থমপসন বলেন, ‘বিভিন্ন সভ্যতার মমির ওপর গবেষণা করে আমরা অথেরোসক্লারোসিসের একই মাত্রা দেখতে পাই। জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন থাকলেও প্রাচীন জীবনে অথেরোসক্লারোসিস ছিল প্রায় সবার শরীরেই।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.