প্রচন্ড খরায় পুড়ছে সারাদেশ। তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল নগরবাসী। তীব্র গরমের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেল রাজধানীবাসী। টানা দাবদাহের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রোববার বৃষ্টির দেখা মিলেছে।
অসহ্য গরমের পর বহুল প্রত্যাশিত এই বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। রাতে রাজধানীতে কোনো কোনো এলাকায় মানুষকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া, বিদ্যুতের ঝলকানি ও বজ্রপাত।
রোববার (২ মে) রাত ১০টা নাগাদ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এলাকা থেকে বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। এসব এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে।
এদিকে একইদিন মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলতি মাসে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়ও। সেই সঙ্গে আকস্মিক বন্যা এবং কালবৈশাখীও হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এছাড়া মে মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। দেশের অন্য জায়গায় পাঁচ থেকে সাতদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের ঝড় হতে পারে।
পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রির উপরে) এবং সারাদেশে ১ থেকে দুটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা উঠতে পারে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি বা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে মে মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।