মিয়ানমারের কারেন বিদ্রোহীদের হাতে ৮০ সেনা নিহত

গত সোমবার মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যের দেমোসো শহরে কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মিয়ানমারের অন্তত ৮০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।

কারেন জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (কেএনডিএফ) জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর তারা ৬০ মিলিমিটার মর্টার লঞ্চার এবং প্রায় ২০টি হালকা অস্ত্র জব্দ করেন।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বরাতে সংবাদ মাধ্যম ‘মিয়ানমার নাউ’য়ের খবরে বলা হয়, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ১৫০ সদস্যের একটি দল কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লইকাও থেকে দেমোসো শহরের কোনে থার গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।

কারেন বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৈন্যদের দৃঢ় প্রতিরোধে জান্তা বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, জান্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনে শহরের একটি মুরগির খামারে অবস্থান করছিল। এ সময় অতর্কিতে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়।

ওই আক্রমণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বহু সেনা নিহত হয়েছে উল্লেখ করে কেনএডিএফ সদস্য জানান, জান্তার ইউনিটটি স্থানীয় না হওয়ায় এলাকাটি তাদের অচেনা। এছাড়া নতুন করে বাহিনীতে সৈন্য আনতেও সক্ষম হয়নি তারা। সংঘর্ষের সময় তারা কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি।
জনগণ আমাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম ফলে কৌশলে আমরা এগিয়ে ছিলাম। এ কারণে তাদের অনেক সদস্য নিহত হয়েছে।

তবে পরবর্তীতে কারেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, যুদ্ধ বিমান এবং কামানের গোলা নিক্ষেপ করে। এতে তাদের এক সদস্য নিহত এবং ছয়জন আহত হয়।

বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থল এবং আকাশ পথে আক্রমণের ফলে তারা ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন।।

শান রাজ্যের পেখন শহরসহ কারেন এলাকায় বেসামরিক যোদ্ধাদের সমন্বয়ে ‘কারেন বিদ্রোহীদের’ জোট গঠিত। এই অঞ্চলজুড়ে অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠীগত এই বিদ্রোহীরা সক্রিয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তার সংঘর্ষ বেড়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.