ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পতনে খুশি। ক্ষমতার পালাবদলকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা। শান্তি বজায় রাখতে নতুন প্রধানমন্ত্রী কাজ করবেন বলে মনে করেন অনেকে।
স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের সংগঠন পিএলও’র শঙ্কা, নতুন প্রশাসন এলেও দখলদারিত্ব আর আগ্রাসন নীতি থেকে সরে আসবে না তেল আবিব।
পিএলও’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, নতুন প্রশাসন এলেও খুব একটা যে নীতির অদলবদল হবে, তা মনে করি না। ইসরায়েল নীতিগতভাবেই দখলদার। তাদের দখলদারিত্ব বজায় থাকবে। চলবে আগ্রাসনও।
নেতানিয়াহু যুগের অবসান হলেও অধিকার আদায়ে ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যুগ যুগ ধরে মুসলিমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এখনই মনে করছে পিএলও।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ইসরায়েলে শুধু ‘নতুন দিনই’ এল না, উঠলো ক্ষমতার পালাবদলের সূর্যও। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর টানা ১২ বছরের শাসনের অবসান দেখলেন স্থানীয়রা।
নেতানিয়াহু ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালান । যখনই নির্বাচনের সময় এসেছে তখন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন যুদ্ধবাজ এ নেতা। তাই তো তার বিদায়ে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, এখন শান্তির সুবাতাস বইবে।
এক আরব বাসিন্দা বলেন, আমি মনে করি একজন সৎ মানুষ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। টেলিভিশনের মাধ্যমে আমি নাফতালি বেনেটকে চিনেছি। তাকে খুব ভালো মানুষই মনে হয়েছে। তার জন্য শুভ কামনা।
ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় নেতানিয়াহুর বিপক্ষে সমাবেশ হয়েছে । নেতানিয়াহুবিরোধী এক নারী বলেন, আমরা জিতে গেছি। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জন হলো।