শান্তিরক্ষায় লেবাননের পথে নৌবাহিনীর ১৩৫ সদস্য

Ctg-BD-NAVY-UN-Miss20160617030355জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ব্যানকন-৭ (ইউনিফিল) এ যোগ দিতে লেবানন গেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৩৫ জন সদস্য।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত ১০টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাতিসংঘের বিশেষ বিমানে তারা চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন।

বিমানবন্দরে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন একেএমএম শেরাফুল্লাহ নৌ সদস্যদের বিদায় জানান। এসময় নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (ব্যানকন-৭) ক্যাপ্টেন মির্জা মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ভূমধ্যসাগরে বিগত ছয় বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি টিম সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা সপ্তম টিম।

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরে বিশ্বের ছয়টি দেশের সাতটি রণতরী আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দুটি রণতরী সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি সফলভাবে মিশন সম্পন্ন করার জন্যে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

২২ জুন আরও ১৩৫ জন নৌ সদস্য লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

নৌবাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২০১০ সালে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ওসমান ও মধুমতি প্রথমবারের মতো লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয়। চার বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর জাহাজ দুটি দেশে ফিরে আসে।

এরপর বিএনএস আলী হায়দার ও নির্মূল জাহাজ দুটি লেবাননে তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়। জাহাজ দুটি লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ প্রবেশ বন্ধে কাজ করছে। এছাড়া লেবাননের জলসীমায় গোয়েন্দা নজরদারি এবং সেদেশের নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে মিশনে থাকা বাংলাদেশি নৌ সেনারা।

লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যদের যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে বলে মনে করছেন দেশের অন্যতম ‍গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিরক্ষ‍া ‍বাহিনীর কর্মকর্তারা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.