যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারেনি ইরান। বকেয়া শোধ করতে না পরার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাধিকার হারিয়েছে দেশটি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ, সম্পূর্ণ অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য।-খবর আল-জাজিরার
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ায় এক কোটি ৬২ লাখ ডলার শোধ করতে পারেনি ইরান। বিশ্বের ছয় শক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে একতরফাভাবে সরে আসার ঘোষণা দেন তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র এরপর থেকে দেশটির ওপর একেরপর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসকে বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) লেখা এক চিঠিতে ভোটাধিকার হারিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন জাভেদ জারিফ।
তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারেনি ইরান। বকেয়া শোধ করতে না পরার ঘটনা একেবারেই ইরানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
গত ২৮ মে সাধারণ অধিবেশনকে গুতেরেস বলেন, বকেয়া শোধ করতে না পারায় পাঁচটি দেশের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। কিন্তু যদি অর্থ পরিশোধের ক্ষমতা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তবে জাতিসংঘে তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো পক্ষ থেকেই চেষ্টার অভাব নেই। কিন্তু ইরান বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। যা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি সুরাহায় আসতে ইরানের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা চলছে।