নীলফামারীতে পটকা ফোটানো নিয়ে ঝামেলা, বিয়ের আসরেই তালাক!

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ে বাড়িতে পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে ভেস্তে গেল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
আনন্দ-উল্লাস রূপ নিল মারামারিতে।
পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার করে বরপক্ষকে। অতঃপর কাজী ডেকে নেওয়া হয় কনের তালাক।
শনিবার উপজেলার উত্তর সোনাখুলী নেছারিয়া জুমাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ওই এলাকার মো. রশিদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার স্মৃতির (১৯) সঙ্গে গত ২২ এপ্রিল বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় একই উপজেলার পূর্ব বেলপুকুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মো. হুসেন আলীর ছেলে মো. আরসাদুল ইসলামের। শুক্রবার ছিল কনে বিদায়ের দিন।
সন্ধ্যায় বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে এলে শুরু হয় আপ্যায়ন।
পরে কনে বিদায়ের সময় বরপক্ষের লোকজন কনেপক্ষের মেয়েদের সামনে শুরু করে পটকাবাজি।
এক পর্যায়ে কনেপক্ষের লোকজন বাধা দিলে বর আরসাদুল তর্ক শুরু করেন। এভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে কনেপক্ষ দুটি মাইক্রোবাসসহ সারারাত বরপক্ষকে আটকে রাখে।
পরদিন শনিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের উপস্থিতিতে কনেকে তালাক নেওয়া হয়। নগদে বুঝে নেওয়া হয় যৌতুক বাবদ বরপক্ষকে দেওয়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.