সিলেটে বিয়ে করতে গিয়ে বর-ঘটক ও ভুয়া সাংবাদিক ধরা

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এক কৃষকের মেয়েকে বিয়ে করতে এসে ভুয়া বর, ঘটক এবং ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়দানকারী প্রতারক সামছুল ইসলামসহ তিনজন আটকের পর মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।

সোমবার রাতে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারস্থ পুষণী গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গ্রামের দরিদ্র কৃষক হানিফ আলীর মেয়েকে বিয়ে করতে এসে দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার বিশ্বনাথ প্রতিনিধির পরিচয়দানকারী ভুয়া সাংবাদিক সামছুলসহ ভুয়া বর ও ঘটক স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন।
এরপর মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশের কার্যালয়ে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজ উদ্দিন ও বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ’র উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান তারা।
স্থানীয় জনতার হাতে আটককৃত তিন প্রতারক হলেন-উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে ভুয়া বর ফারুক আলী (৩৯), একই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে দৈনিক সবুজ সিলেট এর সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সামছুল ইসলাম (৪০) ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে বিয়ের ঘটক কচির আলী (৩৮)।
জানা যায়, ঘটক কচির আলীর মাধ্যমে পূষণী গুচ্ছগ্রামের হানিফ আলীর মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হয় ফারুক আলীর। সময় নির্ধারণ হয় সোমবার রাতে।
বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করেন কনেপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে ঘটক কচির আলী ও সামসুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কনের ঘরে আসেন বর ফারুক আলী।
এসময় সামসুল নিজেকে দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।

কনের বাবা হানিফ আলী জানান, বিয়ের আগ মুহূর্তে আমরা জানতে পারি বর ফারুক আলী বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে।
অথচ, বিয়ের আলাপকালে বিষয়টি বর গোপন রাখেন।
তার স্ত্রী-সন্তান আছে জেনে আমরা বুঝতে পারি তিনি প্রতারণায় আশ্রয় নিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে এসেছেন।
তাদের সাথে থাকা সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সামছুল ইসলামও সাংবাদিক নন। পরে আমরা তাদেরকে আটকে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিনকে বিষয়টি জানাই।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজ উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতে ওই তিন প্রতারককে আমার জিম্মায় রেখে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তার অফিস নিয়ে যাই।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.