ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস নিজের কোম্পানির রকেটে চড়ে মহাকাশ থেকে ঘুরে এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার মাত্র ১১ মিনিটের মহাকাশ যাত্রা থেকে ফিরে বেজোস জানান, এটা তার জীবনের খুবই আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা এবং জীবনের সেরা দিন। মহাকাশ থেকে ফেরার পর সংবাদ সম্মেলনে বেজোসকে প্রশ্ন করা হয়- কেমন বোধ করলেন? জবাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। বেজোস বলেন, ‘ওহ্ ঈশ্বর, এটা খুবই আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা। মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখতে বেশ ঠুনকো লাগে।’
মহাকাশ যাত্রায় বেজোসের সঙ্গী হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তার ছোট ভাই মার্ক বেজোস। রয়েছেন বিশ্বের প্রথম দিককার বিমানচালক ৮২ বছরের ম্যারি ওয়ালেচ (ওয়্যালি ফাঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত) এবং নেদারল্যান্ডসের একটি প্রাইভেট ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওর ১৮ বছরের ছেলে ওলিভার ড্যামেন।
উৎক্ষেপণের পর প্রায় ৭৬ কিলোমিটার গিয়ে তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটি রকেট থেকে আলাদা হয়। পরে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ২ মাইল দূরে রকেটটি নিরাপদে নেমে আসে। আর ক্যাপসুলটি বেজোস ও তার সঙ্গীদের নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের সীমানা টানা কারমান লাইন অতিক্রম করে। ১০৬ কিলোমিটার বা ৩ লাখ ৫০ হাজার ফুট ওপরে উড়ে যায় সেটি। এরপর ১০ মিনিটের মহাকাশযাত্রা শেষে আরোহীদের নিয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
বেজোসের আগে গত ১২ জুলাই মহাকাশের দ্বারপ্রান্তে ভ্রমণের পর পৃথিবীতে ফিরে আসেন ধনকুবের ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসন। যুক্তরাজ্যের এই ব্যবসায়ীর মহাকাশযান ভার্জিন গ্যালাকটিক যুক্তরাষ্ট্রের নিউমেক্সিকোতে নিরাপদে অবতরণ করে। ঘণ্টাব্যাপী তার ওই যাত্রায় মহাকাশযানটি প্রতি ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে উড়ে যায়। এ সময় কয়েক মিনিট ধরে রকেটের ছয় যাত্রী ভরশূন্যতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মহাকাশে পর্যটন ব্যবসা শুরুর নতুন দ্বিগন্ত উন্মোচনের অংশ হিসেবে ভার্জিন গ্যালাকটিক রকেট প্লেনে যাত্রা করেন রিচার্ড ব্র্যানসন।
সূত্র: বিবিসি, সংবাদ প্রতিদিন।