যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে অর্থনীতিবিষয়ক রোড শো। ১০ দিনের এই শোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা, শেয়ারবাজার এবং বন্ড মার্কেটকে তুলে ধরা হবে।
অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তির বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই দেশটিতে বাংলাদেশকে তুলে ধরে বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ আকর্ষণই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে প্রবাসীরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে, সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফিন্যান্স ডিভিশনের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রেসিডেন্ট লরেন্স হেনরি সামার্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবিএম রুহুল আজাদ এবং বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। প্রোগ্রামে স্পন্সর হিসাবে রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক, নগদ ও ওয়ালটন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও কামরুল আনাম খান উপস্থিত থাকবেন।
নিউইয়র্কে ২৬ জুলাই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ২টি সেশন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সেশনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে প্রবাসী বিনিয়োগকারী সম্মেলন এবং একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সম্মেলন। ২৮ জুলাই ওয়াশিংটনে দ্য রিটজ কার্লটনে অনুষ্ঠিত হবে স্টেকহোল্ডার্স মিটিং বা অংশীজন বৈঠক। ৩০ জুলাই লস অ্যাঞ্জেলেসের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে বিনিয়োগকারী সম্মেলন। সর্বশেষ ২ আগস্ট সানফ্রান্সিসকোর হোটেল হায়াত রিজেন্সিতে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ সম্মেলন। এসব সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তা, বেসরকারি উদ্যোক্তা, অনিবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন। আয়োজকদের ধারণা, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন করে পরিচিতি পাবে।