তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রযুক্তি সফল দেশ জাপানে ৬০ হাজার দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে জাপানের ৫০ শতাংশ মানুষ বয়স্ক। আমাদের দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীদের আইটিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে তৈরি করছি। তারাই জাপানের মতো দেশে গিয়ে আইটিতে নেতৃত্ব দেবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সমিনেশন (আইটিইই) বিষয়ক সেমিনার ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আইটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারীদের মান এক রকম নয়। আইসিটি বিভাগ কর্তৃক জাইকার সহযোগিতায় প্রবর্তিত জাপানের আইটিইই পরীক্ষা আইটি গ্র্যাজুয়েটদের আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন প্রাপ্তির পথ সুগম করে। বাংলাদেশেও যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইটি ইঞ্জিনিয়ার আছে এই পরীক্ষা তারই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, এক সময় কর্মসংস্থানের অভাবে তুখোড় মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে চলে যেত। এখন দেশেই সেই মেধাবীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন থেকে মেধাবীদের দেশেই রাখা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধাবী তরুণ প্রজন্ম অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এর জন্য ২০২১ সালের মধ্যে ১৫-২০টি আইটি পার্কের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সরকারের আইটি কার্যক্রম বিষয়ে পলক বলেন, সরকার ইতোমধ্যে দুই লাখ তরুণ-তরুণীকে আইটিতে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিভিন্ন কর্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নানা ধরণের আউটসোর্সিং কাজও করছে। আর এভাবেই তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে তথ্য প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুপকল্প ভিশন ২০২১ ঘোষণা করেছেন। যুব সমাজের জন্য আউটসোর্সিং ও অ্যাপস বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। নিজ দেশের প্রয়োজন মেটাতে এবং পশ্চিমা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল (প্রোগ্রামার) পাঠাতে স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামার খুঁজে বের করতে শুরু করা হয়েছে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। এভাবেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের আইটি গ্র্যাজুয়েটদের দেশে বসেই সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক আইটি সার্টিফিকেশন আইটিইই অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে আইসিটি বিভাগ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এ সার্টিফিকেশন পরীক্ষা পরিচালনা করেন। এ সার্টিফিকেশন জাপানসহ এশিয়ার ১৩টি দেশেসহ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।