যুক্তরাষ্ট্রে আবারো ভয়াবহ হচ্ছে করোনা সংক্রমণ। দেশটিতে ৯৮ শতাংশের বেশি লোক বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের ‘উচ্চ’ অথবা ‘মাঝারি’ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা। এক মাস আগে যেখানে ১৯ শতাংশ মানুষ এমন ঝুঁকিতে ছিল। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার এক লাখ ছয় হাজার মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আর আগের দিন সোমবার এক লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।
মঙ্গলবার এক লাখ ছয় হাজার মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আর আগের দিন সোমবার এক লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়। পরিস্থিতির এ অবনতির পেছনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং অনেক অঙ্গরাজ্যে টিকাদান কার্যক্রমের ধীরগতির কথা বলা হচ্ছে।
সোমবার দুই হাজার ৩৬১টি কাউন্টিকে উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে সিডিসি। অথচ গত মাসের শুরুর সপ্তাহে এ তালিকায় ৪৫৭টি কাউন্টির নাম ছিল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, গত পাঁচ সপ্তাহে দেশটির করোনা পরিস্থিতি কতটা অবনতির পথে।
স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঝুঁকির মাত্রা নির্ণয়ে গত সাত দিনে প্রতি লাখে সংক্রমণের সংখ্যা এবং মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে সংক্রমণের সংখ্যা- এই দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।
সংক্রমণের ‘উচ্চঝুঁকি’ ও ‘উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকাগুলোতে ঘরেও মাস্ক পরতে বলছে সিডিসি। টিকাদানে ধীরগতির অঞ্চলগুলোতে এ কার্যক্রমে জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।