দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক কোচ ও দ্রুতগতির ট্রেন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস রোববার (২৬ জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল শুরু করেছে।
যাত্রার প্রথম দিন ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটারে চলে নির্দিষ্ট সময়েই গন্তব্যে পৌঁছেছে ট্রেনটি। উন্নত যাত্রীসেবার পাশাপাশি ট্রেনটিতে টিকিটের দামেই মিলছে খাবার বক্সও।
ট্রেন কর্মীদের পরিবেশিত খাবারের ধরণ নিয়ে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও অভিযোগ করেছেন ‘অতিরিক্ত’ দাম নিয়ে।
সকাল ৭টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ট্রেনের প্রত্যেক বগিতে খাবার নিয়ে হাজির হন কর্মীরা।
দ্রুতগতির ‘সোনার বাংলা’য় খাবার সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। তবে এ খাবার পাওয়ার জন্যে আলাদা কোনো বিল পরিশোধ করতে হবে না।
টিকিটের দামের সঙ্গেই খাবারের দাম নেওয়া হবে। যেনো ট্রেনে খাদ্যের গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগটি ঘুচতে যাচ্ছে ‘সোনার বাংলা’!
সংশ্লিষ্টরা জানালেন, খাবারের পাঁচটি মেন্যু দেওয়া হবে যাত্রীদের। তবে রমজান মাস হওয়ায় আপাতত পাঁচ সেট মেন্যু দেওয়া হচ্ছে না। ঈদের পর তা যাত্রীদের দেওয়া শুরু করবে পর্যটন করপোরেশন।
রোজায় একটি আপেল, একটি ম্যাঙ্গো জুস, এক টুকরা কেক, দু’টি খেজুরসহ একটি খাবার বক্স দেওয়া হচ্ছে ভ্রমণকারীদের।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে পর্যটন করপোরেশনের আবাসিক ব্যবস্থাপক এএনএম জিয়াউল করিম বলেন, দেশে শুধুমাত্র সোনারবাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রীরাই শুধু পর্যটন করপোরেশনের খাবার বক্সটি পাবেন।
‘রমজান মাস হওয়ায় তাদের নির্ধারিত ৫ টি সেট মে্ন্যুর পরিবর্তে একটি ইফতারি বক্স দেওয়া হচ্ছে। ঈদের পর নিয়মিত খাবার মে্ন্যু দেওয়া হবে।’
তিনি জানান, চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে পর্যটন করপোরেশনের হোটেল অবকাশ। আর ঢাকামুখী যাত্রীদের খাবার দেবে চট্টগ্রামে অবস্থিত করপোরেশনের আরেকটি হোটেল সৈকত।
‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈদের পরেই উন্নতমানের ক্যাটারিং সার্ভিস দেওয়া হবে। তখন যাত্রীরা মানসম্মত আরও ভালো খাবার পাবেন।’ বলেন এএনএম জিয়াউল করিম।
খাবারের মেন্যু প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাঁচটি মেন্যুর প্রথমটি হবে ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ, চিকেন কাটলেট এবং পানির বোতল।
দ্বিতীয়টি হবে- প্লেন কেক, ফ্রুট কেক, ফ্রাইড চিকেন এবং ৫০০ মি.লি. পানির বোতল। বোম্বে টোস্ট, ফ্রেঞ্চ টোস্ট, ফ্রাইড চিকেন এবং ৫০০ মি.লি. পানি থাকবে তৃতীয় মেন্যুতে।
চুতর্থ মেন্যুতে ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন ও পানি। আর ভেজিটেবল রোল, ফ্রাইড প্রন ও ৫০০ মি.লি. পানি পাওয়া যাবে পঞ্চম মেন্যুতে।
এছাড়া খাবার গাড়িতে শুকনো খাবারও রাখবে পর্যটন করপোরেশন। সেখান থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে কিনতে পারবেন যাত্রীরা।
এদিকে প্রথম যাত্রায় পর্যটন করপোরেশনের খাবার বিতরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
তারা বলেছেন, এই মেন্যুর জন্য অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। ১৯৫ টাকা হিসেবে দু’টি খেজুর, এক টুকরো কেক, একটি ম্যাঙ্গু জুস ও একটি আপেল অনেক বেশি দাম।
খাবার ছাড়া অন্য সব সুযোগ-সুবিধায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রথম যাত্রার যাত্রীরা। সিটে বসে হাতের নাগালের মধ্যে ফ্যান, লাইটের সুইচ অন অফ করা যাচ্ছে। রয়েছে স্পিকার টিউনারও।