১০ হাজার থ্রিজি বিটিএস স্থাপনের মাইলফলকে গ্রামীণফোন

2016_06_26_23_26_18_lwuC7rwpv3D6KXGLwi7OLIfM3baBZa_originalবহুল প্রতীক্ষিত ১০ হাজার থ্রিজি বিটিএস স্থাপনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে গ্রামীণফোন। দেশ জুড়ে অবস্থিত এই বিটিএসগুলো দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠিকে থ্রিজি আওতায় নিয়ে এসেছে।

রোববার (২৬ জুন) ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম একটি হোটেল এ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ১০ হাজার তম বিটিএসটি চালু করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ডঃ শাহজাহান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি গ্রামীণফোনের সফলতার তথ্য তুলে ধরেন।

এই সাফল্যের জন্য গ্রামীণফোনকে অভিননদন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আরো একধাপ এগিয়ে গেল।

তিনি বলেন, আমরা তিনটি লক্ষকে সামনে রেখে কাজ করছি। সেবা সম্প্রসারণ, সেবার মানোন্নয়ন ও সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া। এ বছরই আমরা ফোর জি ও এমএনপি চালু করতে পারব বলে আশা করছি। ইতিমধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কাজও শুরু করেছি।

তারানা হালিম বলেন, টেলিযোগাযোগখাতে প্রাইভেট সেক্টর বিনিয়োগ করছে। এর ফলে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আশা করি তারা সেবার মান উন্নয়নে কাজ করবে।

গ্রামীণফোন সিইও বলেন, পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। আমাদের বিনিয়োগ আর আমাদের সাফল্য আজ শুধু গ্রামীণফোনের নয়। এই ১০ হাজার বিটিএস এখন একটি জাতীয় সাফল্য এবং আমরা বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান গ্রামীণফোনকে থ্রিজি বিস্তারের সময় যে উদ্দীপনার সাথে তার কাজ করেছে এর মান বজায় রাখতেও একই উদ্দীপনা প্রদর্শনের আহব্বান জানান।

গ্রামীণফোনের সিটিও মেদহাত এলহোসাইনী ১০ হাজার বিটিএসকে ৩জিতে রুপান্তরিত করার অভিযাত্রা একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে ১৪,১৪,৮৭৭ মানব ঘণ্টা শ্রম দিতে হয়েছে, তারা ভ্রমণ করেছে ১,৩১১,০৪০ কিলোমিটার এবং তাদের চড়তে হয়েছে ৬৮০,০০০ মিটার যা ৮০টি এভারেস্ট শৃঙ্গের সমান।

উদ্বোধনের পর ১০,০০০ তম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও।

গ্রামীণফোন দ্রুত দেশজুড়ে থ্রিজি বিস্তারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাত্র ৬ মাসে দেশের ৬৪ জেলা শহরকে থ্রিজি সেবার আওতায় নিয়ে আসে, যা লাইসেন্স চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩৬ মাসে হবার কথা ছিল। নতুন এলাকায় থ্রিজি সেবাদান কিংবা ২জি সাইট থ্রিজিতে রূপান্তরের মধ্যেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বিস্তৃত ছিলো না, বিদ্যমান টুজি সাইট উন্নতিকরণ ও সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে টুজি সেবা বিস্তৃতিতেও কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.