সিম ‘জালিয়াতিতে’ আটক ২২

file (1)মোবাইল সিমের নিবন্ধন জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ঢাকার আদাবর-শ্যামলী ও তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ বলছে, আটক সবাই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের মধ্যে ওয়াহিদ নামের একজন এয়ারটেলে কাজ করেন। ওই অপারেটরের কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারও এর জড়িত।

তবে তারা কীভাবে ওই জালিয়াতি করছিল, কীভাবে তাদের সন্ধান মিলল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

বুধবার সংবাদ সম্মেলেনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে ওয়াহিদুল ইসলাম জানান।

তবে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিরা ‘প্রি অ্যাক্টিভেটেড’ ও আগেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম বিক্রি করে আসছিলেন। আদাবর ও শ্যামলী এলাকা থেকে ওই রকম সিমসহ তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়।

বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পরও দেশের বিভিন্ন স্থানেই পাওয়া যাচ্ছে আগে থেকে চালু মোবাইল সিম।

গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া চলে। সে অনুযায়ী এখন আর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুন পর্যন্ত মোট ১১ কোটি ৬০ লাখের মত সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র হিসাবে গত এপ্রিল শেষ নাগাদ গ্রাহকের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ২০ লাখের মত।

এ হিসাবে এখনো দেড় কোটির বেশি সিম নিবন্ধিত না হওয়ায় ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে।

তবে গ্রাহকরা ইচ্ছা করলেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে সেই সিম উত্তোলন করতে পারছেন।

এর বাইরেও সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি দোকানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙুলের ছাপ ছাড়াই সিম বিক্রির তথ্য পাওয়ার পর অভিযান শুরুর কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও পুলিশ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.