২০২১ সালের মধ্যে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

file (2)দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা তৈরি হবে।

বুধবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

শিক্ষা খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছর ১ হাজার ১২৫টি গ্রামে নতুন প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিয়োগ হয়েছে ৩৪ হাজার ৮ শত ৯৫ জন শিক্ষক। শিক্ষা উপবৃত্তির সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ্যে উন্নীত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭ হাজার ৫ শত উন্নীত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি তুলে ধরে সংসদ উপনেতা বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি বড় উদ্যোগ হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা। ১৩ হাজার ১২৬টি কমিউনিটি চালু আছে। আরেও ২৩৫টি চালু হবে। শিশুমৃত্যুর হার বিষয়ে এমডিজির লক্ষ্যেমাত্রা অর্জনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, একটি দেশের বাজেট একটি দেশের সার্বিক অর্থনীতির প্রজেকশন। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এটি শুধু কথার কথা নয়, এটি বাস্তব একটি উদ্যোগ। প্রতিটি বছরই আমরা ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছি। বাজেট একটি সাহসী দৃঢ় অর্থনৈতিক প্রস্তাবনা, যা আমাদের সকলের আন্তরিকতা ও সচেষ্টতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া।

সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে সাজেদা চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে মেট্রোরেল-৬ এর নির্মাণ শুরু হয়েছে, দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতি সেতুর নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু হবে। পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজেরও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রেল খাতেও অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে একটি অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করেছে সরকার।

বর্তমানে ৭৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে জানিয়ে সাজেদা চৌধুরী বলেন, সঞ্চালন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে অচিরেই পুরো দেশকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.