চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে স্কুলের টয়লেটে ১১ ঘণ্টা আটকে থাকার পর বাকপ্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে গলা ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার উপজেলার হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী পাশের কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে বিষয়টির জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বাকপ্রতিবন্ধী এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার স্কুলে যায়।
বিদ্যালয় ছুটির কিছুক্ষণ আগে সে টয়লেটে যায়।
এ সময় ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠলে সব শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে যায়।
এর পর বিদ্যালয়ের আয়া শাহানারা বেগম টয়লেটে তালা লাগিয়ে দেন।
সবার অজান্তে টয়লেটে আটকা পড়ে যায় ওই ছাত্রী।
এদিকে স্কুল ছুটির পরও ওই ছাত্রী বাড়িতে না যাওয়ায় তার বাবা চারিদিকে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন।
তিনি তার সব আত্মীয় স্বজন ও মেয়ের সহপাঠীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেন। কিন্তু মেয়ের কোনো সন্ধান পান না।
এরপরে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পর পাশের স্বর্ণকার পাড়ার আল আমিন স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনের আলোর মাধ্যমে টয়লেটের ভেন্টিলেটরে একটি হাত দেখতে পান।
তিনি ভয় পেয়ে তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে বিষয়টি জানান।
পরে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে তালা ভেঙে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার শেষে স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম তার বাড়িতে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক সেবা দেন। উদ্ধারের পর ছাত্রীর বাবাকে সংবাদ দিলে তিনি মেয়ের জন্য সেখানে ছুটে আসেন।