শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ

sdবিবিএস-এর সার্ভে মতে, ২০১১ সালে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ছিল ৩৬ শতাংশ,যা ২০১৩ সালে এসে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ, কেন এমনটি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজ্ঞজন। শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করার তাগিদ দেন তারা। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তাগিদ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম, মুনিরা খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মী।

ড. শামসুল আলম জেন্ডার বাজেট বরাদ্দ কমে যাওয়ায় বরাদ্দ বাড়ানোর ক্ষেত্রে নারী আন্দোলনের আহবান জানান। তিনি বলেন, বাজেট বাড়লেই তা কতটা ফলপ্রসূ হবে তাও মূল্যায়ন করতে হবে। ৭ম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় জেন্ডার সমতা না বলে সব ক্ষেত্রেই নারীকে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি উইমেন ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যাকশন প্ল্যান হলো তা কতটুকু বাস্তবায়ন হলো তাও দেখা দরকার।
আয়শা খানম বলেন, মনিটরিং টুল নিয়ে আমাদের পদ্ধতিগতভাবে ভাবতে হবে অ্যাপ্রোচ দেখতে হবে। বাজেটে রাজনৈতিক মতাদর্শ একটি প্রতিফলন। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আমাদের জিডিপি যতটা এগুচ্ছে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট ততটা বাড়ছে না। অথবা বিনিয়োগ ঠিকমতো বাড়ছে না। তিনটি আঙ্গিকে বিষয়টি আলোচনা করেন প্রবন্ধক। ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এবং আর্থিকভাবে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ এই বিষয়গুলোর আঙ্গিকে আলোচনা করেন তিনি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং সবশেষে এই বাজেটে নারীর অবস্থা কি তাও আলোচনায় উঠে আসে। জেন্ডার বাজেটের উদ্দেশ্য নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ত্বরান্বিত করা যার মূল লক্ষ্য হলো উন্নয়ন। ৬টি মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বাজেট কমেছে। বক্তারা এসডিজির গোল ফাইভের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাইলে নারীর জন্য আরো বেশি বরাদ্দের দাবি জানান। তারা বলেন,একটি বাজেট যখন নারীর ক্ষমতায়নে, দক্ষতা বাড়াতে এবং অন্যের উপর নারীর নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করে সেরকম বাজেটই জেন্ডার বাজেট। কৃষি ক্ষেত্রে যে বাজেট কমানো হয়েছে তার একটি প্রভাব নারীর উপর পড়বে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.