সম্প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ছকে বাঁধা পদ্ধতির আদলে পুরুষ হয়ে ওঠার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং পুরুষ বলতেই শারীরিক-মানসিকভাবে শক্তপোক্ত মানুষ হবে—এমন ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় ক্রমে পুরুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্র কমছে।
আবার পাছে কেউ তাকে দুর্বল ভাবল কি না, সেটা ভেবে অনেক পুরুষ তাদের দীর্ঘদিনের অব্যক্ত কথা ও চিন্তা প্রকাশ না করে নিজের মনের ভেতরে চিরতরে সমাহিত করে।
পুরুষ হয়ে ওঠার এই সামাজিক শিক্ষা ব্যাপক প্রসার লাভ করায় পুরুষেরা তাদের মানসিক চাপ নিয়ে কথা বলতে চায় না।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষেরা বংশপরম্পরায় এমন শিক্ষাই বহন করে চলেছে যে একজন পুরুষ জীবনে সফল হবে, পরিবারের সবার জন্য অর্থ উপার্জন করবে, পরিবারের সবার দায়িত্ব নিজ থেকে পালন করবে এবং সবার পরিস্থিতি সঠিকভাবে অনুধাবন করে তাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে—এটাই তার বেঁচে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য।