প্রবাসে শত ব্যস্ততার লাগাম টেনে কাজের চাপকে পেছনে ফেলে দূর প্রবাস থেকে ছুটে আসছেন দেশের পাণে। মালয়েশিয়ায় থাকা অনেক প্রবাসী পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করতে চায় না। তাই ছুটে চলেছেন নাড়ির টানে দেশের টানে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া ছেড়েছেন অনেক প্রবাসী।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে বিমানের টিকিটের চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও একটু বেশি বলা চলে, কিন্তু দাম যতই বেশি হোক না কেন টিকিট পাওয়াটাই জরুরি তাদের কাছে। অনেকেই ঈদের আগে দেশে আসবেন এই ভেবে এক মাস আগেই টিকিট কেটে রেখেছেন।
পর্যটন নগরী কুয়ালালামপুরের কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গেথে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের টিকিট একটু বেশিই বিক্রি বলা চলে। ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থেকেই প্রায় ৯০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানান ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা।
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। দেশমুখি যাত্রীদের উপস্থিতিও কিছুটা বেশি। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি নজর কারার মতো। প্রিয় মানুষের জন্য লাগেজভর্তি উপহার নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
কথা হয় মো. আজিম নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে। তিনি জানা, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেশে ফিরছেন তিনি। অনেকদিন ঈদ উদযাপন করা হয় না পরিবারের সঙ্গে। তাই এবার কোনো বাঁধাই তাকে আটকাতে পারেনি।
অন্য আরেকজন প্রবাসীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আনন্দে আপ্লুত হয়ে কিছুই বলতে পারছিলেন না। বলছিলেন, দুই মাসের ছুটি পেয়ে এক মাস আগেই টিকিট কিনে রেখেছিলাম। পাঁচ বছর দেশে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারিনি তাই সবার সঙ্গে এই ঈদটি অনেক খুশির হবে।
মো. আজিম মুখে হাত রেখে আলতো হেসে বলেন, ভাই এবার ঈদে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মালয়েশিয়া ফিরবো। টাকা আয় করার জন্য এতগুলো বছর অনেক পরিশ্রম করেছি। এখন একটু মা-বাবার মন রক্ষা করার জন্য একজন বউ আনবো। মায়েরও অনেক বয়স হয়েছে তাদের ইচ্ছাটুকু পূরণ করতে পারলেই অনেকটা ফ্রি হয়ে যেতে পারবো। আর আমি আমার মা-বাবার পছন্দমতো মেয়েকেই বিয়ে করার ইচ্ছা।
এদিকে মালয়েশিয়ার নাগরিকরা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন। বাংলাদেশে ঈদ এলে যেমন ঢাকা একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়, তেমনি ঈদকে সামনে রেখে কুয়ালালামপুর শহরও এখন প্রায় পুরোটাই ফাঁকা।
দেশটির বিমানবন্দরগুলো এ সময় বেশ ব্যস্ত সময় কাটায়। তবে কুয়ালালামপুরে পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে। সামনে লম্বা ছুটি থাকায় বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছেন।