শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে এই কমসূচিতে অংশ নেন প্রাবাসীরা।
নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসের প্রতি ধিক্কার, নিন্দা, প্রতিবাদ জানানো হয়।
‘এটিই যেন হয় বাংলাদেশে শেষ সন্ত্রাস’ এমন সংকল্পে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এ কর্মসূচি থেকে।
প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের আহবায়ক রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক এ বি সিদ্দিক, সদস্য সচিব রেজাউল বারি, রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা শিতাংশু গুহ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির স্বীকৃতি বড়–য়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মিথুন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাকিকুল ইসলাম খোকন, গণজাগরণ মঞ্চের লুৎফুন্নাহার লতা ও মিনহাজ আহমেদ সাম্মু প্রমুখ মানববন্ধনে অংশ নেন।
ওবামার উপদেষ্টা নীনা আহমেদের ক্ষোভ
গুলশানে হামলার হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ।
শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এমন জঘন্যতম অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। এ নৃশংসতা আর বর্বরতার বলি যারা হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা এবং হতাহতদের স্বজনের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।”
এ ধরনের হামলা প্রতিহত করতে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বি চৌধুরীর নিন্দা
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও গুলশানের ক্যাফেতে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থানরত বদরুদ্দোজা এক বিবৃতিতে বলেন, “এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জাননোর ভাষা আমার নেই।”
এই সন্ত্রাসী চক্রকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি।
নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।