হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন চুরির সাথে জড়িত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কার্গো ও ট্রাফিক হেল্পারগণ।
শুধু চুরি করেই খ্যান্ত হচ্ছেননা এসব কার্গো ও ট্রাফিক হেল্পারগণ। তারা কার্গোতে আসা পণ্য বিভিন্নভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন।
কার্গোর মালামাল চুরি করে ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি, প্লট ক্রয় করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন এসব কার্গো ও ট্রাফিক হেল্পারগণ।
চুরির সাথে জড়িত কয়েকজন কার্গো হেল্পার হাতেনাতে ধরা পড়ে কয়েক দিনের জন্য চাকুরীচ্যুত হলেও কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতায় আবার তারা চাকুরীতে যোগদান করে বহাল তবিয়তেই ওবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করছেন।
সূত্রে জানা যায়, চুরিকান্ডের সাথে জড়িত আরফান খান, রজ্জব আলী ও মো: আব্দুল হালিম সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে আরফান খান (C- নম্বরের প্রথম সংখ্যা ৫ এবং শেষ সংখ্যা ১)ও রজ্জব আলী(C- নম্বরের প্রথম সংখ্যা ৫ এবং শেষ সংখ্যা ৯) কার্গো হেল্পার এবং মো: আব্দুল হালিম(C- নম্বরের প্রথম সংখ্যা ৪ এবং শেষ সংখ্যা ২) ট্রাফিক হেল্পার।
এভিয়েশন নিউজের পক্ষ থেকে এসব সিন্ডিকেটের প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সবাই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তাদের নামে অবৈধ আয়ে গড়া সম্পদ থাকার তথ্যকে ভিত্তিহীন বলেছে।
জানা গিয়েছে, নেতৃত্বে থাকা এই সিন্ডিকেটের অধীনে কাজ করেন আরো কয়েকজন কার্গো হেল্পার ও ট্রাফিক হেল্পার। সিন্ডিকেটের অধীনে কাজ করা এসব কার্গো হেল্পারগণের নামের প্রথম ও শেষ অক্ষর দেওয়া হলো:-
(সা_ল শে_), (বা_ _দ হো_ ন), (সা_ _ ল ই_ _ ম),(সো_ গ মি_), (এ _ এম আ_ দ), এরা সবাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো হেল্পার ও (আ_ ল বা_ র) ট্রাফিক হেল্পার।
দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থেকে এসব কার্গো ও ট্রাফিক হেল্পারগণ বিপুল পরিমাণ ধন সম্পদের মালিক বনে গিয়েছেন।
দ্রুত এদের লাগাম টানতে না পাড়লে ও কার্গোর চুরি ঠেকানো না গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুনাম ক্ষুণ্ণ হতে থাকবে। ও সরকার হারাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।