ইংল্যান্ড সফর নিয়ে আশাবাদী বিসিবি

Bangladesh-england20160710142115কথাটা কানে লাগলেও কঠিন সত্য, গুলশান এবং শোলাকিয়ায় দু’দফা সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ড কেন, যে কোন দল বাংলাদেশে আসতে দশবার ভাববে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও তাই করছে। বাংলাদেশের অবস্থা নীবিড় পর্যবেক্ষণে ইসিবি।

এদিকে বিসিবি এখনো ইংলিশ ক্রিকেট দলের সাথে হোম সিরিজ যথাসময়ে আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ঈদের আগেই তেমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ঈদের ছুটির পর একই সুরে কথা বললেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনও।

তারও আশা ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ যথাসময়ে হবে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে রোববার দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে স্থানীয় প্রচার মাধ্যমের সাথে আলাপে বিসিবি সিইও অনেক কথার ভীড়ে গত বছর হয়ে যাওয়া যুব বিশ্বকাপ (অনুর্ধ্ব-১৯) ক্রিকেটে নেয়া নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খেলা আয়োজনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

তিনি বোঝাতে চান, অবস্থা যেমনই থাকুক, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে দেশের নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পৃক্ত থাকবে। সেখানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও সার্বিক বিষয়টি তদারক করা হবে। যা হয়েছিল গত বছর যুব বিশ্বকাপ (অনুর্ধ্ব-১৯) ক্রিকেটে।

প্রসঙ্গত, এখনকার মত বড় দুটি সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলা না হলেও তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। সেখানে নিরাপত্তার ধুয়ো তুলে অস্ট্রেলিয়া না আসলেও অন্য সব টেস্ট খেলুড়ে দল ঠিকই অংশ নিয়েছিল। আসরও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় বেশ ভালভাবেই সমাপ্ত হয়েছিল।

বিসিবি সিইও ওই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আদর্শ মনে করেই আসলে স্বপ্ন দেখছেন। তাই তো কণ্ঠে এমন আশাবাদী উচ্চারণ, ‘যে কোনো সফর, সিরিজ বা টুর্নামেন্ট যখন আয়োজনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সরকার এবং সরকারের যে সব বিভাগ নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা যারা আছে তাদের সার্বিক সহযোগিতায় অতীতে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও আমরা অনেক বড় বড় ইভেন্ট সফল ভাবে শেষ করেছি।’

নিরাপত্তার সব বিষয় বোর্ড বিবেচনা করবে বলেও জানানো হয়। বিসিবির সিইও বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরা আশাবাদী যে, ওই নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়গুলো যে কোনো বোর্ড বিবেচনা করবে। আপনারা জানেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে কিছু অসুবিধা ছিল, আমরা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি এবং সফল ভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শেষ করেছি।’

বিসিবি প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, নিরাপত্তা বা সন্ত্রাসী-জঙ্গী হামলার হুমকি এখন আর বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটা বৈশ্বিক বিষয়। অনেক বড় বড় দেশ যাদের অনেক নিরাপত্তা বলয় এবং প্রটোকল রয়েছে, সেখানেও কিন্তু বড় বড় ঘটনা ঘটছে। সেক্ষেত্রে এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ব্যাপার না।’

ইসিবি নিরপেক্ষ ভেন্যুর কথা বলেছে। তা নিয়ে বিসিবি কি ভাবছে? এ প্রশ্নের জবাবে নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা আয়োজনকে আমরা কোনো ভালো সমাধান মনে করি না। কোন দেশে ক্রিকেট দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া কাম্য নয় আমাদের। আমাদের আশা থাকবে যে, এফটিপিতে যেটা আছে সেটা সেভাবে হোক। ’

বিসিবি সিইওর শেষ কথা, ‘ আমরা নিকট অতীতে দুটি বড় বড় টুর্নামেন্ট অনেক সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সব বিভাগ আছে। আমরা আশা করবো, তাদের সঙ্গে বসে আসন্ন সফলগুলো কিভাবে সফল করতে পারব।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.