বিশ্বের চলমান রাজনৈতিক সংকট ও ঢাকার গুলশান এবং কিশোরগঞ্জে জঙ্গি হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বৈঠকে বসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বৈঠকে বিশেষ করে জঙ্গি হামলা ও নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে রয়েছে কি-না সে বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। পর্যালোচনা করে দেখা হবে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। এজন্য ঢাকায় থাকা তাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছে এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা ইইউর রাজনৈতিক শাখার কর্মকর্তারা।
সূত্র আরো জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচার নিয়েও আলোচনা হবে এবারের বৈঠকে। সেখানেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশের যে কোনো সংকটে তৎপরতা দেখায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দিয়ে আসছে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব। সরকারের নীতিনির্ধারক ও প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেছে ইইউ প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন সময়ে জোটভুক্ত এই দেশগুলোর পক্ষ থেক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করেছেন। সংকট সমাধান করতে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুরত্ব মেটানোরও চেষ্টা করেছেন তারা।
জঙ্গি হামলার ব্যাপারে ইইউ’র বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি পিয়েরে মায়েদুন সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইইউ’র দেশ থেকে প্রতিনিধিরা আসতে পারেন।
প্রতিনিধি দল আসার আগেই এ বৈঠক হচ্ছে। বৈঠক হওয়ার পরেই বোঝা যাবে বাংলাদেশ বিষয়ে ইইউ নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কি-না। এর আগের ইইউ পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে এক এমপি প্রস্তাব করেছিলেন, বাংলাদেশের উপর ইইউ’র পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার। তখন সেই প্রস্তাব অনুমোদন হয়নি পার্লামেন্টে।