বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা অব্যাহত রাখবে অ্যালায়েন্স

gulshan_mourning_photoবাংলাদেশের তৈরি পোশাক ক্রেতাদের একটি জোট, অ্যালায়েন্স বলছে, দেশটিতে কথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটলেও, তারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা অব্যাহত রাখবে।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরিতে আমেরিকান ক্রেতাদের নিয়ে ২০১৩ সালে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি নামের একটি জোট গঠিত হয়। এই জোটে গ্যাপ ও ওয়ালমার্টের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

অ্যালায়েন্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জেমস মরিয়ার্টি রয়টার্সকে বলছেন, আমাদের সদস্য দেশগুলো আগের মতোই তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে। কোন ব্রান্ড তাদের কার্যাদেশ তুলে নিয়েছে বা বাতিল করেছে, এমন কোন তথ্য আমার জানা নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তৈরি পোশাক খাতে কাজ করে, এমন কিছু বিদেশী কোম্পানি ১ জুলাই গুলশানের রেস্তোরায় হামলার ঘটনার পর তাদের কর্মীদের বাংলাদেশে সফর স্থগিত করেছে।

বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা নেয়ার জন্য সোমবার মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

ঢাকায় একসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন মরিয়ার্টি।

তিনি বলছেন, বেশিরভাগ দূতাবাস থেকেই তাদের নাগরিকদের এমনভাবে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে যাতে তারা দৃশ্যমান না হয়। অনেক বড় বড় ব্রান্ড তাদের বিদেশী কর্মীদের বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না। কিন্তু বেশিরভাগেরই হয় বাংলাদেশী, অথবা দক্ষিণ এশিয় প্রতিনিধি ঢাকায় কাজ করছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মরিয়ার্টি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, যারা এরকম হামলা করছে, তাদের সংখ্যা খুবই কম, তাদের সমর্থন আরো কম।

বাংলাদেশের পোশাক খাতে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে অ্যালায়েন্স যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, তা তারা অব্যাহত রাখতে বলে তিনি জানান।

অ্যালায়েন্সের ২৮টি সদস্য প্রতিষ্ঠানের কাজ হয়, ২০১৮ সালের মধ্যে এমন ৭০০ কারখানার নিরাপত্তা তদারকি করছে এই জোট।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.