মহাকাশে এক বিশাল স্পেস স্টেশন। হঠাৎ করে বিজ্ঞানীদের স্পেস স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যেকোন মুহূর্তে পৃথিবীতে ঘটতে পারে বিপর্যয়। এমনটাই ঘটতে যাচ্ছে চীনের প্রথম স্পেস স্টেশন তিয়াংগং ১ এর ক্ষেত্রে। চীনের পাঠানো প্রথম স্পেস স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন দেশটির মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যে কোন মুহূর্তে তা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে বড় বিপর্যয় ঘটাতে পারে।
টমাস ডোরম্যান নামে এক জ্যোতির্বিদ জানান, টেলিস্কোপ এবং ক্যামেরা দিয়ে স্যাটেলাইটের উপর সবসময় নজর রাখেন তিনি। আর নজর রাখতে গিয়েই চীনের প্রথম স্পেস স্টেশন তিয়াংগং এর সমস্যা দেখতে পেয়েছেন। তিনি জানান, স্পেস স্টেশনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ফলে যে কোনও সময় পৃথিবীর বুকে তা ভেঙে পড়তে পারে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে চীন প্রথম তাদের স্পেস স্টেশনটি মহাকাশে পাঠায়। তিয়াংগং-১ এর ওজন আট টন। তবে স্পেস স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও চীনের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে টমাস ডোরম্যান বলেন, ‘আমি যদি ঠিক হই, তাহলে চীন তাদের স্পেস স্টেশনে গড়বড়ের কথা বিশ্বকে জানাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।’
সাধারণভাবে মহাকাশের কোনও বর্জ্য পৃথিবীর মাটিতে পৌঁছানোর আগেই বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু তিয়াংগং-১ এর সঙ্গে তা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এও আশঙ্কা করছেন যে, ওই স্পেস স্টেশনের কোনও টুকরোও যদি কোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে, তাহলে ভয়ানক বিপদ হবে।
সত্যিই কি স্পেস স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে চীন? এই নিয়ে বেইজিংয়ের তরফ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। যা আরও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে অনেকের।
তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চাইনিজ ম্যানড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং (CMSE) স্পেস স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবরটি স্বীকার করেছে।