মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে ফের দৌড়ঝাঁপ

Malasia120160713165344মালয়েশিয়ায় বৈধ পথে জনশক্তি রফতানির দ্বার উন্মোচন করতে ফের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক এই মনোপলি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।

এ বিষয়ে তারা মালয়েশিয়ার মানবসম্পদসহ বিভিন্ন মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। শিগগিরই তারা দেশটির সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে বৈঠক করবেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে ‘জি টু জি’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া। সে অনুযায়ী শুধুমাত্র সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার ‘প্লান্টেশন’ খাতে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছিল। এখাতে কাজ করতে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায় ওই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।

পরে মালয়েশিয়ায় জনশক্তির জন্য বাংলাদেশ ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকায় এলে সেবা, উৎপাদন ও নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২৪ ঘন্টা পার হবার আগেই সেই চুক্তি স্থগিত করে মালয়েশিয়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনে ৩৩ হাজারেরও বেশি ভিসা আটকে পড়ায় প্রফেশনাল ভিসার ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম অনিশ্চিত। প্রফেশনাল ভিসার ছাড়পত্র ইস্যু বন্ধ থাকায় বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির প্রায় ৩০ হাজার প্রফেশনাল ভিসা আটকা পড়েছে। তবে বন্ধ হয়নি টুরিষ্ট ও স্টুডেন্ট ভিসায় শ্রমিক আসা।

এদিকে দিন দিন সংকুচিত হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিক প্রেরণ এখন কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও তা খুলছে না, মিলছে শুধুই আশ্বাস। দেশটিতে বৈধভাবে জনশক্তি প্রেরণ একপ্রকার থমকেই আছে।

অনেক ভুক্তভোগী জানান, বিভিন্ন জনের কাছে টাকা, পাসপোর্ট দিয়ে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কবে খুলবে এই বন্ধ দুয়ার তা মালয়েশিয়া সরকার ছাড়া কেউ জানে না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.