বেনাপোলে বৈদেশিক মুদ্রাসহ আটক পাচারকারীর পলায়ন

Banapole-customs-Bg20160715152049যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ আটক পাচারকারী ফরিদ হোসাইন পালিয়ে গেছেন।

কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র থেকে বৈদেশিক মুদ্রার তিনটি ব্যাগের মধ্যে একটি ব্যাগ নিয়ে ফরিদ পালিয়ে যাওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলছে না কর্তৃপক্ষ। এতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও মুদ্রা পাচারকারীকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৫জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাস্টমস সুপার উত্তম সমদ্দার যাত্রীর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ও যাত্রীর শরীর তল্লাশির কথা বলে কাস্টমসের অন্যকক্ষে নিয়ে যাওয়ার পথে ফরিদ পালিয়ে যায়।

এরআগে সকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কাহুরনগরহাটি গ্রামের রজব আলীর ছেলে ফরিদকে ভারত থেকে যাত্রীর ছদ্দবেশে ফেরার পথে আটক করা হয়।

অভিযুক্ত কাস্টমস সুপার উত্তম সমদ্দার  জানান, তিনি ওই মুদ্রা পাচারকারীকে ২৬ ব্যাটালিয়নের বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবির নায়েক আনিসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ব্যাগ খোঁজার জন্য। পরে সেখান থেকে ফরিদ পালিয়ে যায়।

তবে বিজিবি সদস্য আনিস কাস্টমস সুপারের বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে জানান, তারা এ ধরনের কোনো যাত্রীকে হাতে পাননি।

এদিকে, ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতা না নিয়ে মুদ্রা পাচারকারীকে কেন বিজিবি সদস্যদের হাতে দেওয়া হলো এর কোনো জবাব দিতে পারেননি অভিযুক্ত কাস্টমস সুপার উত্তম সমদ্দার।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান  জানান, তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে সকালে ফরিদকে আটক করে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি ও বৈদেশিক মুদ্রা গণনা চলছিল। এ সময় কাস্টমস সুপার উত্তম সমদ্দার ওই যাত্রীকে নিয়ে যান শরীর তল্লাশি ও অন্য একটি ব্যাগের সন্ধানের নাম করে। আধা ঘণ্টা পর তিনি ফিরে এসে জানান ফরিদ পালিয়েছে।

এদিকে, ওই যাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া বাকি দুটি ব্যাগ তল্লাশি করে ৯৩ হাজার ৪৪৯ মার্কিন ডলার, ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০ ভারতীয় রুপি, ৪ হাজার ৩০০ কানাডিয়ান মুদ্রা পাওয়া গেছে। এগুলো বাংলাদেশি টাকায় প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.