রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ বিটিআরসি

revenueরাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আবারও ছুঁতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) । পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত অর্থবছরের স্পেকট্রাম নিলাম আয়োজন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা পিছিয়ে বিটিআরসি।

বিটিআরসি’র এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন ৩,৯৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। সমস্ত খরচ বিয়োগের পর কমিশন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩,৭০০ কোটি টাকা জমা করে।’ অর্থমন্ত্রী বিটিআরসি’র রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬,০০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেন। স্পেকট্রাম নিলাম থেকে ৩,০০০ কোটি টাকা উঠে আসার কথা ছিল।

বিটিআরসি’র অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটর এবং ইন্টারকানেকশন একচেঞ্জ অপারেটরগুলো থেকে ৪,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০০ কোটি টাকা যোগ করা হবে।’ আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রাজস্ব ফি জমা দিতে পারবে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটর এবং ইন্টারকানেকশন একচেঞ্জ অপারেটরগুলো। এ তারিখের পরে দিলে জরিমানা গুনতে হবে অপারেটরগুলোকে।

তিনি বলেন, রেগুলেটরের বাজারে বিপুল পরিমাণ তহবিল আছে কিন্তু অপারেটরগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত এবং রাজনৈতিকভাবে সমর্থিত হওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। উদাহরণস্বরূপ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক থ্রিজি লাইসেন্সের জন্য মাত্র ৬০ কোটি টাকা পরিশোধ করে অথচ অপারেটরটির মোট ফি ছিল ১,৬২৭ কোটি টাকা। আরেক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানী লিমিটেডের বিটিআরসি’র কাছে ১,৬০০ কোটি টাকা বকেয়া আছে।

বিটিআরসি টেলিকম অপারেটরগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক স্পেকট্রাম চার্জ, লাইসেন্স ফি সংগ্রহ করে। তাছাড়া টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে ডাউনলিঙ্ক চার্জ এবং সার্ভিস প্রোভাইডারদের থেকে বিভিন্ন চার্জ নিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কমিশনটির রাজস্বের বেশিরভাগই আসে মোবাইল অপারেটরদের মোট আয়ের ৫.৫ শতাংশ শেয়ার থেকে। তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে ক্যাটাগরির ৪০ শতাংশ টাকা ইনকামিং ইন্টারন্যাশনাল কল থেকে আসে। বর্তমানে বিভিন্ন গেটওয়ে অপারেটরের বিটিআরসি’র কাছে ১,০০০ কোটি টাকা বকেয়া আছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিটিআরসি’র রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পিত ১৩,৬৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রায় ৪,১০০ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিটিআরসি ১০,০৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। থ্রিজি স্পেকট্রাম নিলাম এবং ২জি লাইসেন্স নবায়ন ফি’র কারণেই এতো রাজস্ব সংগ্রহ করতে পেরেছিল কমিশন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.