টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় ১২৯ রানের লক্ষ্যটা মোটেই বড় কিছু নয়। তারপরও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিওয়র্সের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের দল জ্যামাইকা তালাওয়াসের জয়ের পথটা খুব একটা সহজ ছিল না।
কারণ, কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে জবাব দিতে নেমে সাত বল খেলতে না খেলতেই যে সাকিবরা হারিয়ে ফেললো চারটা উইকেট। তখন হাল ধরলেন দলের একমাত্র বাংলাদেশি। তিনি কেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন তার প্রমাণটা পাওয়া গেলো।
সাকিব পেয়ে যান ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ৪৭ বলে সাতটি চারের কল্যানে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ব্যাটিং পজিশন বদলে সাতে নামা অধিনায়ক ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৫ রান । এই দু’জনের ৮৭ রানের জুটিতে ২৫ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জ্যামাইকা তালাওয়াস।
পাঁচ উইকেটের বড় জয় পেলো জ্যামাইকা। সাকিব-গেইল বাদে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। এই নিয়ে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় জয় পেলো সাকিবের দল।
প্রথম দুই ওভারের মধ্যে চার উইকেট পতনের পর লড়াইটা যে সহজ ছিল না – সেটা মানছেন সাকিব। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমেই চারটা উইকেট চলে যাওয়ার পর ম্যাচটা সহজ ছিল না। ভাল লাগছে যে, সেই অবস্থান থেকেও জিততে পেরেছি। ব্যাটে রান থাকায় আরও বেশি ভাল লাগছে।’
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা গায়ানার ইনিংসে দুই অংকের স্কোর গড়তে পেরেছিলেন কেবল চারজন। এর মধ্যে জেসন মোহাম্মদ ৪৬ ও ক্রিস লিন ৩৩ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ডেল স্টেইন ও পাকিস্তানি বাঁ-হাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম দুটি করে উইকেট পান। সাকিব দুই ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে নেন একটা উইকেট।
আগামীকাল রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় ফের মাঠে নামছেন সাকিবরা। একই ভেন্যুতে সাকিবদের প্রতিপক্ষ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিওটস।