১০ উদ্যোক্তা নিয়ে আইটি ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু

2016_07_27_22_43_24_yphbWuQ7MMUJWblXpoZVmK1Vl90KGt_originalদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০ উদ্যোক্তাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলো কাউরান বাজারস্থ জনতা টাউয়ারের আইটি ইনকিউবেটর। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে সম্প্রতি আয়োজিত কানেক্টিং স্টার্ট আপ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ উদ্যোগের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘কানেক্টিং স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ’ এ সেরা ১০ জন বিজয়ীকে স্পেস বারদ্দ দেয়া হলো। কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে বিশ্বমানের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বুধবার সকালে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে দেশের ইতিহাসে প্রথম ‘আইটি ইনকিউবেটর’ সাপোর্ট সেন্টারের ফলক উন্মোচন করা হয়।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের প্রথম আইটি ইনকিউবেটরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজয়ী ১০ স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানের হাতে আইটি ইনকিউবেটরের চাবি তুলে দেয়া হয়।

কানেক্টিং স্টার্ট আপ প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ উদ্যোগ হলো- হেড ব্লকস, ইন্টারঅ্যাকটিভ থেরাপি, বিডি রেটস ডটকম, ইমপ্লে ভিসতা, হিউম্যাক ল্যাব, সিক্স এক্সিস, জিওন, হিরোস অব ৭১, প্রযুক্তি নেক্সট এবং খুঁজুন।

এই ১০ উদ্যোগ আইটি ইনকিউবেটরে জায়গা বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারের জন্য মেন্টরিংয়ের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া এসব উদ্যোগ যাতে ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়, সে জন্য ঋণ সহায়তা দেয়া হবে তাদের।আইসিটি ইনকিউবেটর ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করার একটি প্লাটফর্ম, যা তরুণদের ক্ষমতায়ন, কাজের সুযোগ প্রদান এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজে কাজের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের একটি পথ হিসেবে কাজ করবে।

জনতা টাওয়ারের ১২ তলা এই ভবনের চার তলায় ছয় হাজার বর্গফুট জায়গা পেল এই ১০ স্টার্টআপ। যারা এক বছর বিনামূল্যে সবধরনের সুবিধা পাবেন। আর মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক নির্বাচিত স্টার্টআপদের জন্য অফিস স্পেসের ডেকোরেশন সুবিধা প্রদান করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বিটিআরসি সচিব ড. শাহজাহান মাহমুদ, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি হাউলিন ঝাউ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিম্পেলকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অগি কে ফাবেলা, বাংলালিংকের সিইও এরিস ওস এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরির্টির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসনে আরা বেগমসহ অন্যান্যরা।

এছাড়া শীর্ষ ৫০ স্টার্টআপস এর বাকি ৪০টিও এখানে কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের সুবিধা পাবে। এই ৪০টি স্টার্টআপ তিন মাস সমমানের একসেলারেটর সহায়তা পাবে। এছাড়া স্টার্টআপগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে বছরব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.