পুরনো ছেড়ে নতুন কারাগারে যাচ্ছে বন্দিরা

2016_07_29_10_10_21_AHnHbsInfH5neFuLm0vYc4RrKCA4Ea_originalব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দিদের কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তর শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ৯টা) ৪ দফায় মোট এক হাজার ৩০০ বন্দি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৯টি প্রিজন ভ্যান, দ্বিতীয় দফায় ৭টি, তৃতীয় দফায় ৮টি এবং চতুর্থ দফায় ৭টি প্রিজন ভ্যানে বন্দিদের নেয়া হয়। ভ্যানগুলোর সাথে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

বন্দি স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সকাল থেকেই ঢাকা নাজিমুদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জ নবনির্মিত কারাগার পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাস্তায় ২০০ গজ পরপর অবস্থান নিয়েছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও এপিবিএন।

সকাল ৮টার দিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বন্দি স্থানান্তরে কোনো থ্রেট (হুমকি) নেই। তারপরেও যেহেতু এটি ইতিহাসের একটি বড় ঘটনা, তায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েই বন্দি স্থানান্তর করা হচ্ছে।’

কারাসূত্রে জানা যায়, কেরানীগঞ্জ কারাগারে শুধু পুরুষ বন্দিদের স্থানান্তর করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের আগেই কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্র ও শনিবারে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বন্দি নবনির্মিত এই কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।

কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে প্রায় ১৯৪ একর জায়গার ওপর চার শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম এই কারাগারটি। এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৮ হাজার।

১৯৮০ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে বেশ কয়েকটি বড় আবাসিক ভবন গড়ে ওঠে। এতে কারাগারের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা উভয়ই বিঘ্নিত হচ্ছে বলে উপলব্ধি করে তৎকালীন সরকার।

সে বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাউন্সিলের একটি সভায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সরানোর বিষয়টি প্রথম উঠে আসে। ১৯৯৪ সালে একে চূড়ান্তভাবে সরিয়ে দুটি কারাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে একটি গাজীপুরের কাশিমপুরে ও অন্যটি কেরানীগঞ্জে।

অবশেষে ২০০৬ সালে একনেকে কেরানীগঞ্জে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর পর থেকেই শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু পরে তিন দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.