মুরগি আগে, না ডিম—এ ধাঁধার জবাব খোঁজা হচ্ছে স্মরণাতীতকাল থেকেই।
এর জবাব নিশ্চয়ই সহজ নয়। যদিও নানা মুনির নানা মত।
ডিম আর মুরগি দুটিকেই জয়ী করে নানা ফায়সালা পাওয়া গেছে।
তবে এসব দাবির প্রায় কোনোটিই বিজ্ঞানসম্মত নয়।
সত্যি বলতে ডিম আগে না মুরগি আগে—এ বড় জটিল প্রশ্ন।
শুধু বিজ্ঞানই হয়তো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারে।
অনেক গবেষক এর বিজ্ঞানসম্মত জবাব খুঁজতে কাজও করেছেন।
সম্প্রতি নতুন এক সমাধান বের করেছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।
তাঁদের দাবি, মুরগিই আগে এসেছে।
যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘ সময় এ নিয়ে গবেষণার পর বলছেন, ডিম সৃষ্টিতে ডিমের সাদা অংশে থাকা ওভোক্লিডিন নামের প্রোটিনের (ওসি-১৭ নামেও পরিচিত) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
এই প্রোটিন পাওয়া যায় মুরগির গর্ভাশয়ে।
এতেই প্রমাণিত হয় যে মুরগিই প্রথমে এসেছে।
এরপর তার গর্ভাশয়ে ওভোক্লিডিন প্রোটিন তৈরি হয়েছে এবং পরে তা থেকেই তৈরি হয়েছে ডিম, কিন্তু নতুন এ ব্যাখ্যাও বিতর্ক থামাতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ ‘ডিম আগে’র পক্ষ আবারও অবধারিতভাবে প্রশ্ন তুলবে—
তাহলে সেই মুরগিটি এলো কোথা থেকে? কোনো একদিন সে প্রশ্নেরও বিজ্ঞানভিত্তিক জবাব দিতে নিশ্চয়ই চেষ্টা করে যাচ্ছেন আরেকদল গবেষক।