একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে মাত্র পাঁচটি সিম রাখার সিদ্ধান্তের পর গ্রাহক তার কোন সিমগুলো সচল রাখবেন সে ব্যাপারে পছন্দের সুযোগ দেবে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
এই প্রক্রিয়ায় একজন গ্রাহকের এনআইডি’র বিপরীতে কতগুলো সিম আছে তার হিসাব দিয়ে গ্রাহকদের পাঁচটি সিম সচল রাখার অনুরোধ জানানো হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বৃহস্পতিবার বলেন, একজন গ্রাহকের পাঁচটি সিম রাখার বিষয়ে মোবাইল অপারেটরগুলো জানিয়ে দেবে।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন ২৬ জুলাই সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে একজন এক এনআইডির বিপরীতে গ্রাহকের পাঁচটি সিম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মোবাইল সিম জালিয়াতি বন্ধে এক এনআইডির বিপরীতে পূর্বের ২০টির পরিবর্তে মাত্র পাঁচটি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি এনআইডির বিপরীতে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয়।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহক বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন নিয়ে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কয়টি সিম রাখতে পারবেন সেজন্য ওই সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
তবে নতুন করে পাঁচটি সিম রাখার সিদ্ধান্তের পর অনেক গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন, কীভাবে কতটি সিম সচল রাখবেন তা নিয়ে জিজ্ঞাসা গ্রাহকদের। পূর্বের নির্দেশনায় একজন গ্রাহক পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধন করেছিলেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এক এনআইডির বিপরীতে কোন অপারেটরের কতটি সিম নিবন্ধিত হয়েছে সে হিসাব নেওয়ার পর পাঁচটির বেশি সিম যেন না রাখে তা বলা হবে। গ্রাহক কোনগুলো সিম সচল রাখবে সে সুযোগ পাবেন। হঠাৎ করে সিম বন্ধ করা হবে না।
খুব শিগগিরই গ্রাহকরা এ ব্যাপারে নির্দশনা পাবেন বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন সম্পন্ন করেছে সরকার।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন শুরুর পর ৩১ মে পর্যন্ত ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছিল টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসি।
কার নামে কতটি সিম নিবন্ধিত হয়েছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে গ্রাহকদের তা জানিয়ে দেয় আপারেটরগুলো।
বিটিআরসি’র সর্বশেষ জুন মাসে হিসেবে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার।