বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবিমান নির্মানের কাজ শেষ করেছে এশিয়ার ক্ষমতাধর দেশ চীন। নৌ উদ্ধার অভিযান ও বণাঞ্চলে দাবানল ঠেকাতে গত সাত বছর ধরে এই বিমানটি তৈরি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ। ২০০৪ সালে দেশটির বিমান বাহিনীতে সর্বপ্রথম এরকম বিমান নির্মানের প্রকল্প উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সময়ে এরকম একটি বিমানের নকশা সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না বোয়িং ৭৩৭ বিমানের চেয়ে আয়তনে কিছু বড় এজি৬০০ বিমানটি তৈরি করে। পরবর্তীতে বিমানটির কিছু অংশ পুনঃসংস্কার করে সাবেক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়।
বিমান কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেং রুংয়াং বিমানটি সম্পর্কে বলেন, ‘বিমানটি চীনের বিমানশিল্পে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।’ তবে আজ যতই বিমানটি নিয়ে উচ্চাশা ব্যক্ত করুন না কেন, বিমানটি তৈরির পর কিন্তু চীনের সরকার বিমানটি চলাচলের জন্য অনুমোদন দেয়নি প্রথমে। সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার প্রেক্ষিতে কয়েকবার তদন্ত কমিটি গঠন করে এর বিভিন্ন আনুষাঙ্গিকতা যাচাই বাছাইয়ের প্রেক্ষিতে শেষমেষ ২০০৯ সালে চীন সরকার বিমানটি চলাচলের অনুমতি দেয়।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের মধ্যে ১২টন পানি সংগ্রহ করতে পারে এবং একটানা সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যেতে পারে বিমানটি। পাশাপাশি বিমানটিতে রয়েছে জরুরী অবতারণ এবং দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চলে অভিযান পরিচালনার উপযোগী প্রযুক্তি। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও যাতে উদ্ধার অভিযান চালানো যায়, সেদিক বিবেচনা করেই এর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটানো হয় বেশ কয়েক দফায়। চীন সরকার শুরুর দিকে এমন বিমান তৈরির বাস্তবতা নিয়ে শঙ্কিত থাকলেও, বর্তমানে এই সফল নির্মানের পর সেনাবাহিনীর জন্য সাবমেরিন ও অন্যান্য উপকরণ তৈরির জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছে চীন সরকার।